দ্রব্য মূল্যের সাথে কোনভাবেই তাল মেলাতে পারছেনা সাধারণ মানুষ।তবে এবার একটু স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। আগেও বাজারে সবজির দাম ছিল চড়া। তবে এখন সেই অবস্থা থেকে শীতের ছোঁয়ায় কিছুটা শীতল হয়েছে সবজির বাজার। মৌসুম না হওয়ায় দুই একটি সবজির বাড়তি দাম যাচ্ছে এখনো। বাকি সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।আজকের বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, বাঁধা কপির পিসও ৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটোর কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ১০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, শিম (বিচিওয়ালা) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শিম (সাধারণ) কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আরিফ হোসেন । তিনি বলেন, আজকে বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কম দেখতে পেলাম। দুই সপ্তাহ আগেও যেসব সবজির দাম বেশি ছিল সেই সবজিগুলোর দাম এখন কিছুটা কমেছে।বরবটি, পটল, করলার এখন মৌসুম না হওয়ায় এগুলো ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাকি সব সবজির দাম আগের চেয়ে অনেক কম। কম দামে সবজি কিনে ক্রেতারা স্বস্তি পাচ্ছেন, আমাদের বিক্রির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির যে দাম চলছে তার চেয়েও আরও কম দাম কারওয়ান বাজারে। এখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে সেটা পরিবহন খরচ, দোকান খরচ, লেবার খরচ ধরে পরে নতুন করে সবজির দাম নির্ধারণ করছে। যে কারণে তুলনামূলক কিছুটা বেশি দাম রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে। তিনি আরও বলেন, শীতের প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। যে কারণে দাম কমেছে। কিছু কিছু সবজির দাম কয়েকদিন পর আরও কমবে। নতুন সবজি যত পরিমাণে উঠতে থাকবে দাম তত কমবে।